
গাড়ি কেনার স্বপ্ন স্বার্থক করতে খুব কম জনই পারে। কিন্তু গাড়ি কিনলেই হবেনা, তার রক্ষণাবেক্ষণ থেকে শুরু করে ট্রাফিক আইন, সমস্ত দিকের খেয়াল রাখলে তবেই গাড়ি রক্ষা করতে পারবেন আপনি। এবার ট্রাফিক আইন নিয়ে তো বহু খবর পড়েছেন, কিন্তু আজ আমরা অতিরিক্ত কিছু বিষয় সম্পর্কে জানাতে চলেছি আপনাদের। প্রতিটি তথ্যই খুব মন দিয়ে পড়ে দেখে নিন।
গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে অনেকেই মদ্যপান করতে চলে যান। কিন্তু গাড়ির মধ্যে মদ্যপান করা বৈধ কিনা সেটাও জেনে রাখা দরকার। পার্ক করা গাড়িতেও মদ্যপান করা যায় কিনা চলুন সেকথাও জানাচ্ছি আপনাদের। প্রথমত, আপনি যদি চলন্ত অবস্থায় গাড়িতে মদ পান করেন তাহলে সেটা কিন্ত দণ্ডনীয় অপরাধ। মোটা চালান দিতে হতে পারে এই ভুলের কারণে।
দ্বিতীয়ত, গাড়ি থামিয়ে মদ্যপান করলেও বাধা রয়েছে। গুরুত্বপুর্ন বিষয় হলো আপনি গাড়িটি কোথায় পার্ক করেছেন তার ওপর নির্ভর করে। কেউ নিজের বাড়ির গ্যারাজে গাড়ি পার্ক করে মদ্যপান করলে সেটা আলাদা বিষয়। তখন আপনাকে কোনো চালান ভরতে হবে না। কিন্তু আপনি যদি পাবলিক প্লেস, বাস স্ট্যান্ড, রাস্তার ধারে অথবা স্কুল-কলেজের সামনে থামিয়ে মদ পান করেন তাহলে তা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।
এখানে উল্লেখ্য যে, 1988 সালের মোটর ভেহিকেল আইনের 185 ধারা অনুযায়ী, যদি একজন ব্যক্তির শরীরের প্রতি 100ml রক্তে 30mg এর বেশি মদ বা ড্রাগ থাকে অথবা তাঁর রক্তে যদি ড্রাগের উপস্থিতি থাকে তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রথমবার এরকম অবস্থায় ধরা পড়লে 10,000 টাকা জরিমানা অথবা 6 মাস পর্যন্ত জেল হতে পারে। দ্বিতীয়বার ধরা পড়লে 2 বছর জেল এবং 15000 টাকার জরিমানা।
বহুক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার একই অপরাধে ধরা পড়ার পর উক্ত ব্যক্তির আর্থিক লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে সমস্ত রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ নয় সেখানে আপনি নিজের সাথে 2 লিটার পর্যন্ত মদ রাখতেই পারেন। তবে মদ পান করে ড্রাইভিং করা চলবেনা। উক্ত পরিমাণের থেকে বেশি বহন করলে আপনাকে 5,000 টাকা পর্যন্ত চালান দিতে হতে পারে।